Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

শিরোনাম
আমাদের অর্জন সমূহ
বিস্তারিত

অর্জন সমূহ (২০২১-২০২২)

১৭১৩৬ জন নারীকে ভিজিডি সহায়তা প্রদান

১০৪১১ দরিদ্র ও গর্ভবতী মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদান

শহরাঞ্চলে ৩৩৭৫ কর্মজীবী মহিলাদের ল্যাকটেটিং ভাতা প্রদান

 ১২২১ জন নারীকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান

নারীর ক্ষমতায়নে ১৮৪০ জন নারীকে প্রশিক্ষণ প্রদান  

৩০ জন সাহায্য প্রার্থী মহিলাদের আইনি সহায়তা প্রদান

১০ জন আগ্রহী নারীদেরকে উদ্যোক্তা হিসেবে সৃষ্টি করা

নারীর ক্ষমতায়ন বৃদ্ধিতে স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি নিবন্ধন ও অনুদান বিতরন

দুঃস্থ মহিলাদের মাঝে ৭৫ টি সেলাই মেশিন বিতরন

জেলায় বাল্যবিবাহের হার কমিয়ে আনার ক্ষেত্রে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং ২০ টি বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ

দক্ষ জনবল তৈরীতে সহায়তা

নারী উন্নয়ন ও সমতার লক্ষ্যে মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (MDG), সাসটেইনাবেল ডেভলপমেন্ট গোল (SDG) এবংদারিদ্র্য বিমোচন কৌশলপত্রের (NSAPR) আলোকে নারী উন্নয়ন নীতিমালা বাস্তবায়নকল্পে রাজস্ব ও উন্নয়ন কার্যক্রম গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রালয়ের অধীন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মাধ্যমে নারী উন্নয়নে গৃহীত সরকারি/বেসরকারি উদ্যোগ ও কার্যক্রমের সমন্বয় করা।

নারীবান্ধব আবাসিক/অনাবাসিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বৃত্তিমূলক ও ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হচ্ছে।

ভিজিডি কর্মসূচি: বাংলাদেশ সরকারের সর্ববৃহৎ সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসুচি (Safety net programme) দুঃস্থ ও অসহায় এবং শারীরিকভাবে সক্ষম মহিলাদের উন্নয়ন স্থায়ীত্বের জন্য দুই বৎসর ব্যপি বা ২৪ মাস প্রতি নারী প্রতি মাসে ৩০ কেজি খাদ্যশস্য ও প্রশিক্ষণ পেয়ে থাকেন। ভোলা জেলার ৭২ টি ইউনিয়নে মোট ভিজিডি সুবিধাভোগীর সংখ্যা ১৭১৩৬ জন। ইউনিয়ন পর্যায়ের যে কোন দুঃস্থ ও অসহায় নারী www.dwavgd.gov.bd এ সাইটে তার আবেদন দাখিল করতে পারেন।

দরিদ্র মার জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান কর্মসূচি : দরিদ্রমা ও শিশু মৃত্যু হার হ্রাস, মাতৃদুগ্ধ পানের হার বৃদ্ধি, গর্ভাবস্থায় উন্নত পুষ্টি উপাদান গ্রহণ বৃদ্ধির লক্ষ্যে “দরিদ্র মা”র জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা প্রদান” কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ভোলা জেলার ৭২ টি ইউনিয়নে মোট ভাতাভোগীর সংখ্যা ১০৪১১ জন।

মহিলাদের আত্ম-কর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম: বিভিন্ন বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত বিত্তহীন ও দরিদ্র মহিলাদের উৎপাদনমূখী কর্মকান্ডে সম্পৃক্তকরণের মাধ্যমে আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। এ পর্যন্ত ৯৭০ জন নারীকে ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কর্মসূচি: ১৯৮৬ সালে নির্যাতনের শিকার নারীদের আইনগত পরামর্শ ও সহায়তা প্রদানের লক্ষ্যে ১ জন আইন কর্মকর্তার সম্বনয়ে ৪টি পদ নিয়ে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কার্যক্রম শুরু হয় যা পরবর্তীতে জেলা ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয়ে নারীর প্রতি সহিংসতা রোধসহ নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে কমিটি গঠন এবং বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। ইউনিয়ন পর্যায়েও নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।

ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি): নারী নির্যাতন প্রতিরোধকল্পে মাল্টিসেক্টরাল প্রোগ্রামের অধীনে ৭টি বিভাগীয় শহরে অবস্থিত সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ ভোলা সদর হাসপাতালে ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) স্থাপন করা হয়েছে। ওসিসি হতে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশুদের চিকিৎসা সহায়তা, আইনি সহায়তা, পুলিশি সহায়তা, ডিএনএ পরীক্ষা, মানসিক কাউন্সেলিং, আশ্রয় এবং সমাজের পুণর্বাসনের জন্য সহযোগিতা প্রদান করা হয়।ভোলা সদর হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার এর কার্যক্রম চলমান আছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে ন্যাশনাল হেল্পলাইন সেন্টার: নারী নির্যাতন প্রতিরোধে মাল্টিসেক্ট্রোরাল কার্যক্রমের মাধ্যমে হেল্পলাইনের 109 নাম্বারে তাৎক্ষনিকভাবে আইনী সহায়তা প্রদান। যেকোন মোবাইল হতে ২৪ ঘণ্টা এই নাম্বারে ফোন করে নির্যাতনের শিকার নারী ও শিশু তাদের পরিবারের সদস্যসহ যে কেউ প্রয়োজনীয় সাহায্য পেতে পারেন।তাছাড়া কোথাও বাল্যবিবাহ সংগঠিত হলে/আশংকা দেখা দিলে 109 নম্বরে কল দিলে তাৎক্ষনিক বাল্যবিবাহ বন্ধের ব্যবস্থা নেয়া হয়।

স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতি নিবন্ধননিয়ন্ত্রন ও অনুদান বিতরণ: স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনসমূহের নিবন্ধন প্রদান ও তদারকিসহ তাদের মধ্যে বাৎসরিক অনুদান প্রদান করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সংগঠনসমূহের নিবন্ধন উপপরিচালকের কার্যালয় হতে করা হয়।

দরিদ্য স্বল্পশিক্ষিত বেকার মহিলাদের আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ ( জেলা পর্যায়): গ্রামীন দুঃস্থ মহিলাদের আত্মকর্মসংস্থানের লক্ষ্যে WTC বা মহিলা প্রশিক্ষন কেন্দ্রের মাধ্যমে স্থানীয় চাহিদার ভিত্তিতে বিভিন্ন ট্রেডে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। প্রতি তিন মাস অন্তর প্রশিক্ষার্থী ভর্তি ও ০৩ মাস মেয়াদী প্রশিক্ষণ প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে। ভোলা জেলা কার্যালয়ে ২টি ট্রেডে (আধুনিক দর্জিবিজ্ঞান, ব্লক বাটিক ) ১০০ জনকে ০৩ মাস মেয়াদী বিনামূল্যে প্রশিক্ষণসহ প্রতি কর্মদিবসে ১০০ টাকা হারে ভাতা প্রদানের ব্যবস্থা রয়েছে।  

কর্মজীবি ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা কর্মসূচি: শহর এলাকার দরিদ্র কর্মজীবী দুগ্ধদায়ী মা এবং তাঁদের শিশু- দের সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে সার্বিক জীবন যাত্রার মান উন্নয়ন ও কর্মজীবী উপকারভোগী দরিদ্র মা’দেরকে ০৩ (তিন) বছর ব্যাপি প্রতিমাসে ৮০০/-টাকা করে ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। ভোলা জেলায় ০৫টি পৌরসভায় ৩৩৭৫ দুগ্ধদায়ী মাকে ভাতা প্রদান চলমান রয়েছে।

 কিশোর কিশোরী ক্লাব স্থাপন প্রকল্প: পরিবার ও সমাজের সহায়ক পরিবেশে কিশোর –কিশোরীদের সমাজ পরিবর্তনের সক্রিয় এজেন্ট হিসাবে ক্ষমতায়ন করতে কিশোর – কিশোরী ক্লাব পরিচালনা করা হয়।বাল্যবিবাহ, যৌন হয়রানী রোধকল্পে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। । ভোলা জেলার ৭২টি ইউনিয়নসহ ৫টি পৌরসভায় মোট ৭৪টি ক্লাবের মাধ্যমে ২২২০ জন কিশোর কিশোরীকে এ কার্যক্রমের আওতায় ক্ষমতায়ন করা হচ্ছে।   

মহিলা সহায়তা কেন্দ্র : মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহিলা সহায়তা কর্মসূচির অধীনে নির্যাতনের শিকার, অসহায়, দুঃস্থ নারীদের আইনী সহায়তা প্রদানের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে নারী নির্যাতন প্রতিরোধ সেল এবং নির্যাতিত নারীদের সাময়িক অবস্থানের জন্য আবাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। প্রতিরোধ সেলে নির্যাতনের শিকার নারীদের অভিযোগ গ্রহণ, কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি, দেনমোহর,স্ত্রীর ভরণ-পোষণ, খোরপোষ ও সন্তানের ভরণ-পোষণ আদায় করা হয়। দেশের ০৫ টি বিভাগীয় শহরে (বরিশাল সহ) এ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।বরিশালের কাশীপুর চৌমাথা সংলগ্ন (ডিজিএফআই এর বিপরীতে) এলাকায় বিভাগীয় অফিসের মাধ্যমে কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।